গদ্য
সৌদামিনী মালোর পালিত পুত্র হরিদাসকে নিয়ে মনোরঞ্জন মালো গ্রামময় প্রচার করে দিলো যে সৌদামিনী ভয়ানক শাস্ত্রবিরুদ্ধ পাপ কর্ম করেছে। ব্রাহ্মণের জাত মেরেছে সে। সৌদামিনী মালোর সাথে মনোরঞ্জন মালোর শত্রুতা আগে ছিল ব্যক্তিগত এখন তা সমাজগত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু একা মনোরঞ্জন মালো নয় সমস্ত গ্রাম সৌদামিনী মালোর বিরুদ্ধে জুলুম শুরু করল।
ক. ‘বিলাসী’ গল্পে কোন মোগল সম্রাটের নাম উল্লেখ আছে?
খ. “একলা যেতে ভয় করবে না তো?”- কে, কাকে এবং কেন এই উক্তিটি করেছিল? বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকের সৌদামিনী মালোর সাথে ‘বিলাসী’ গল্প যায়? আলোচনা করো।
ঘ. উদীপকের ভয়ানক বিষ পান’ ‘বিলাসী’ গল্পে কীভাবে দেখানো হয়েছে। বিশ্লেষণ করো।
সুন্দরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রায়হান চৌধুরী সত্যের পথে থেকে সারা জীবন অতিবাহিত করেছেন। তিনি মিথ্যা, ভণ্ডামি পছন্দ করতেন না। তিনি মনে করতেন, মিথ্যা ক্ষণিকের লুকোচুরি খেলা যা মানুষের আত্মবিশ্বাসকে দুর্বল করে দেয়। শিক্ষার্থীদেরও তিনি বিদ্যাকে পরিষ্কার করে সত্যের সুকঠিন পথে চলার উপদেশ দিতেন। তিনি শিক্ষার্থীদের বলতেন!! “সত্যই একমাত্র নিজেকে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসের সাথে পাড়াতে সাহায্য করে।
ক. সবচেয়ে বড়ো ধর্ম কোনটি?
খ. অভিশাপ-রথের সারথি’ কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা করো ।
গ. উদ্দীপকের সাথে আমার পথ’ প্রবন্ধের কোন বিশেষ দিকটির মিল রয়েছে? আলোচনা করো।
ঘ. সত্যের সুকঠিন পথ বর্তমান সমাজ পরিবর্তনের আলোর পথ নির্দেশক “উদ্দীপক ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা করো।
৩. পরের হিতের জন্য ভাব যদি নিরবধি!
নিজ সুখ ভুলে গিয়ে ভাবিলে পরের কথা,
মুছালে পরের অশ্রু—ঘুচালে পরের ব্যথা!
আপনাকে বিলাইয়া দীন-দুঃখীদের মাঝে,
বিদুরিলে পর দুঃখ সকালে বিকালে সাঁঝে।
ক. ‘তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন?’ উক্তিটি কার?
খ. সর্বজীবের হীত’—কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা করো ।
গ. উদ্দীপকের ‘সুখ’ প্রকৃতপক্ষে ‘মানব-কল্যাণ’ প্রবন্ধের কোথায় নিহিত রয়েছে? আলোচনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব ‘মানব কল্যাণ’ প্রবন্ধের মূলভাবকে সামগ্রিকভাবে ফুটিয়ে তোলেনি বক্তব্যের সপক্ষে তোমার যুক্তি উপস্থাপন করো।
৪. অযুত প্রাণের অগ্নিশিখায় সূর্য-কুঁড়ি ফৌজের হাঁকে কাঁপে থরথর দস্যুপুরী নিমেষে ছড়ায় তারই আওয়াজ দিগন্তরে মনে কি পড়ে?
ক. ‘রেইনকোট’ গল্পের কলেজের পিওনের নাম কী?
খ. “ভোর রাত থেকে বৃষ্টি”–এই ‘বৃষ্টি’ সম্পর্কে নুরুল হুদার অভিব্যক্তি বর্ণনা করো ।
গ. অযুত প্রাণের অগ্নিশিখার সূর্য-কুঁড়ি বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ‘রেইনকোর্ট’ গল্পের আঙ্গিকে আলোচনা করো। .
ঘ. উদ্দীপক ও ‘রেইনকোট’ গল্পে বাঙালিদের যে জাতীয় চেতনার স্ফুরণ ঘটেছে তা বিশ্লেষণ করো।
কবিতা
ওরে মোর গূঢ় মেয়ে
কে রে তুই, কোথা হতে কি শক্তি পেয়ে
কহিলি এমন কথা, এত স্পর্ধা ভরে-
“যেতে আমি দেবো না তোমায়।” চরাচরে কাহারে রাখিনি ধরে’ দুটি ছোটো হাতে, গৱৰিনি সংগ্রাম করিবি কার সাথে বসি গৃহদ্বার প্রান্তে প্রান্ত ক্ষুদ্র দেহ শুধু লয়ে ওইটুকু বুক ভরা স্নেহ !
ক. ‘আমি একেলা—এখানে ‘আমি’ কে?
খ. “ভরা নদী ক্ষুরধারা খরপরশা”- বাক্যটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? বর্ণনা করো ।
গ. উদ্দীপকটিতে ‘সোনার তরী’ কাব্যের গভীর জীবন দর্শনের পরিচয় কতটুকু প্রকাশ পেয়েছে। আলোচনা করো।
ঘ. “সোনার তরী’ কবিতার ভাববস্তু আলোচ্য উদ্দীপকে সম্পূর্ণ প্রতিফলিত হয়নি”-আলোচনা করো।
নবীন জগৎ সন্ধানে যারা ছুটে মেরু-অভিযানে,
পক্ষ বাঁধিয়া উড়িয়া চলেছে যাহারা ঊর্ধ্বপানে।
তবু থামে না যৌবন-বেগ, জীবনের উল্লাসে
চলেছে চন্দ্র-মঙ্গল-গ্রহে স্বর্ণে অসীমাকাশে।
যারা জীবনের পসরা বহিয়া মৃত্যুর দ্বারে দ্বারে
করিতেছে ফিরি, ভীম রণভূমে প্রাণ বাজি রেখে হারে।
আমি মরু-কবি-গাহি সেই বেদে বেদুইনের গান,
ক. আঠারো বছর বয়স পদাঘাতে কী ভাঙতে চায়?
খ. ‘সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে এখানে তরুণদের কোন বিশেষ দিকটির প্রতি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে? বুঝিয়ে বলো।
গ. উদ্দীপকে কবি যাদের জয়গান গেয়েছেন তাদের প্রতি ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার কবির মনোভাবের তুলনামূলক আলোচনা করো।
ঘ. এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে। কবির এ প্রত্যাশার কারণ কী? উদ্দীপক ও ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার আলোকে বিশ্লেষণ করো।
বিভিন্না মুখের কোটি অশ্বারোহী এসে
ঘুরে ঘুরে ক্ষতময় করে গেছে সহনীয়া মাটি,
লালসার লালামাখা ক্রোধে বন্দুক কামান কত
অসুর গর্জনে চিরেছে আকাশ পরিপাটি,
বিদীর্ণ নীল বর্ণ হয়ে গেছে তুমি, বাংলাভূমি।
ক. উনোনের আগুনে আলোকিত কীসের কথা বলা হয়েছে?
খ. ‘বিচলিত স্নেহ’ কথাটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে ‘বাংলাভূমি’-এর সাথে ‘আমি কিংবদন্তি কথা বলছি’ কবিতার চেতনাগত সাদৃশ্য কোথায় আলোচনা করো।
ঘ. ‘লালসার লালা মাখা ক্রোধে কীভাবে আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসের পরিচয় খুঁজে পাওয়া যায়? উদ্দীপক ও ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতার প্রেক্ষাপটে আলোচনা করো।
উপন্যাস: লালসালু
রসুলপুর গ্রামের ছেলে আরিফ মিয়া এমএ পাশ করে গ্রামের একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষক পেশায় নিয়োজিত। সে গ্রামের মানুষদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে গ্রামের জোতদার আফাজ আলি। সে গ্রামবাসীদের ভুল ধারণা দেয় যে, আরিফ মিয়া ধর্মীয় শিক্ষার পরিবর্তে প্রচলিত শিক্ষা দিয়ে তাদেরকে পথভ্রষ্ট করতে চাচ্ছে। ফলস্বরূপ গ্রামবাসী আরিফ মিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গ্রামছাড়া করে।
ক. ‘তোমার দাড়ি কই মিঞা?’- উক্তিটি কার?
খ. ‘আপনারা জাহেল, বে-এলেম, আনপাড়হ্’—এই উক্তিটির তাৎপর্য লেখো।
গ. উদ্দীপকের ‘আরেফ মিয়া’র সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়? আলোচনা করো।
ঘ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত সমাজচিত্রে ‘লালসালু’ উপন্যাসের সমাজচিত্রের পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন ঘটেনি। ” – আলোচনা করো।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মাসি-পিসি’ গল্পে অসহায় নিঃস্ব দুই বিধবা নারীর অস্তিত্ব রক্ষার পাশাপাশি বিরূপ পরিবেশে থেকে আহ্লাদিকে রক্ষার জন্য যে প্রখর বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে তা গল্পটিকে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে। অত্যাচারী স্বামী, লালসা- উন্মত্ত জোতদার, দারোগা ও বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করে আহ্লাদিকে নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে দুই বিধবা নারীর দায়িত্বশীল ও মানবিক জীবন-যুদ্ধ সত্যিই প্রশংসনীয়।
ক. ‘সর্পিল গতিতে’ শব্দটির অর্থ কী?
খ. “বিশ্বাসের পাথরে যেন খোদাই সে চোখ” – উক্তিটি বুঝিয়ো লেখো।
গ. উদ্দীপকের নারীদের সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের নারী চরিত্রের সাদৃশ্য আলোচনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের ‘অস্তিত্ব রক্ষা’ শব্দটি ‘লালসালু’ উপন্যাসের ‘মজিদ’ চরিত্রে কীভাবে দেখানো হয়েছে? বিশ্লেষণ করো।
নাটক: সিরাজউদ্দৌলা
সৈয়দপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক উদ্দিন পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিজ এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তার নিকটাত্মীয় মনির একজন বিশ্বাসঘাতক রাজাকার। কেউই মনিরকে বুঝিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের দলে নিতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে একদিন মনির রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা রফিক উদ্দিনকে ধরিয়ে দেয় পাক বাহিনীর হাতে।
ক. নবাব সিরাজউদ্দৌলা কোথায় বন্দি হন?
খ. তীব্র প্রতারকের দল চিরকালই পালায়”- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো। ঘ. নিকটজনের দ্বারা বিপর্যয়ের শিকার রফিক উদ্দিন ও সিরাজউদ্দৌলা : যথার্থতা বিশ্লেষণ করো।
আত্মদ্বন্দ্বে পরাভূত মানবাত্মার সকরুণ বেদনা ও সুকঠোর পীড়নের চিত্র যে নাটকে উদ্ঘাটিত হয় তাকে ট্র্যাজেডি বলে। ট্র্যাজেডি নাটকে নায়কের নিঃসীম দুঃখভোগ ও নিদারুণ বেদনা প্রাণকে বিমথিত করে তোলে। ট্র্যাজেডিতে মৃত্যু অনিবার্য নয়। নায়কের পরাজিত জীবন মৃত্যুর চেয়েও অধিকতর সকরুণ। প্রতিকূল অবস্থার সাথে লড়াই করতে করতে শেষ পর্যন্ত নায়ক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। নিঃশেষ হয়ে পড়ে তার অনমনীয় শক্তি।
ক. নকল দলিল দেখিয়ে কাকে ঠকানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল?
খ. ‘তোমার ক্ষমতা ধ্বংস হবে, সিরাজ। ” -কে, কাকে এবং কেন এ উক্তিটি করেছিল?
গ. উদ্দীপকের প্রতিকূল অবস্থার সাথে লড়াই ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের প্রেক্ষাপটে কত সাদৃশ্য বহন করে? আলোচনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে “সিরাজউদ্দৌলা” সিরাজ চরিত্রের করুণ পরিণতি আলোচনা করো।